০১. এ মুদারাবা মেয়াদী জমা হিসাবটি হিসাব অর্থ জমাকারী গ্রাহক এবং আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড এর মধ্যে
সম্পাদিত ইসলামী শরীয়াহ্ মোতাবেক একটি মুদারাবা চুক্তি।
ক. এখানে অর্থ জমাকারী গ্রাহক হচ্ছে সাহিবুল-মাল (অর্থের মালিক) এবং ব্যাংক হচ্ছে মুদারিব (ব্যবসা পরিচালনাকারী)।
খ. উক্ত খাতে গৃহীত জমা ব্যাংক অন্যান্য জমা বা মূলধনের সঙ্গে একত্রিত করে নিজস্ব সিদ্ধান্ত মোতাবেক শরীয়াহ্ অনুমোদিত সুদমুক্ত যে কোন খাতে বিনিয়োগ করতে পারবে।
গ. ব্যাংক মুদারাবা তহবিল বিনিয়োগ করে উক্ত বিনিয়োগের আয়ের শতকরা ৭০% মুদারাবা (১.৩,৬,১২,২৪, ৩৬ মাসের মেয়াদী জমা) জমাকারীদের মধ্যে ওয়েটেজ ভিত্তিতে বন্টণ করে। ওয়েটেজ এবং বিনিয়োগ আয় বণ্টণের হার ব্যাংক এককভাবে নির্ধারণ করে।
হিসাব পরিচালনার নিয়মাবলী
২. ইসলামী শরীয়াহ্ মুদারাবা নীতিমালার ভিত্তিতে ১,০০০.০০ টাকা বা তদুর্ধ্ব তার গুণিতক যে কোনো পরিমাণ টাকা এ হিসাবে জমা গ্রহণ করবে এবং প্রাপ্তিস্বরূপ হস্তান্তরযোগ্য রশিদ প্রদান করবে।
৩. .মেয়াদ উত্তীর্ণের পর ৩০(ত্রিশ) দিনের মধ্যে মুদারাবা মেয়াদী জমা হিসাব না ভাঙ্গলে মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ হতে অনুরূপ মেয়াদের জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে নবায়িত বলে গণ্য হবে।
৪. জমাকারী মেয়াদ পূর্তির পূর্বে কোন জমা তুলে নিতে চাইলে Daily Product -এর ভিত্তিতে মুদারাবা সঞ্চয়ী হিসাবের হারে মুনাফা প্রদান করা হবে।
৫. মুদারাবা মেয়াদী আমানতের লাভ মেয়াদপূর্তিতে সংশ্লিষ্ট মেয়াদী হিসাবে জমা করা হয়। জমাকারী উহা উঠিয়ে না নিলে তাহা মূল জমা হিসাবে গণ্য হবে এবং পরবর্তীকালে তদানুযায়ী লাভের জন্য বিবেচিত হয়। এক বৎসর বা তদুর্ধ্ব মেয়াদী জমাকারী প্রয়োজনবশতঃ ৬ মাসান্তে লাভের টাকা উঠিয়া নিতে চাইলে তাহা সাময়িক লাভের হার (পূর্ববর্তী বৎসরের) অনুযায়ী তার সংশ্লিষ্ট মেয়াদী হিসাবে জমা করে সাথে সাথে তার বিকলন করে জমাকারীর মুদারাবা সঞ্চয়ী/আল-ওয়াদিয়া চলতি হিসাবে জমা করা হয় বা পে-অর্ডারের মাধ্যমে প্রদান করা হয়।
৬. বাৎসরিক চুড়ান্ত লাভের হার ঘোষিত হওয়ার পূর্বে কোন জমা হিসাব বন্ধ হয়ে গেলে উক্ত জমাকারী গত বৎসরের সাময়িক হারে লাভ নিতে বাধ্য থাকবে। পরবর্তীকালে এ ধরনের জমার উপর লাভের হার কম ঘোষিত হলে জমাকারী বা ব্যাংক কাহারো কোন দাবী থাকবে না।তবে লাভের হার বেশী হলে তা গ্রাহককে প্রদান করা হবে। সে ক্ষেত্রে গ্রাহককে শাখায় একটি মুদারাবা সঞ্চয়ী/আল-ওয়াদিয়া চলতি পরিচালনা করতে হবে।
০৭. জমাকারীর নির্দিষ্ট ঠিকানা পরিবর্তন হলে তা অবিলম্বে ব্যাংককে জানাতে হবে। ব্যাংক ডাকযোগে জমাকারীর সাথে যোগাযোগ করবে।ডাকযোগে প্রেরিত কোনো চিঠিপত্র যথাসময়ে বা আদৌ বিলি না হলে ব্যাংকের উপর কোনো দায়-দায়িত্ব বর্তাবে না।
০৮. মুদারাবা মেয়াদী জমার রসিদ জমাকারী যথাযথভাবে সংরক্ষণ করবেন । কোন কারণে রসিদ হারিয়ে গেলে তৎক্ষণাৎ লিখিতভাবে ব্যাংককে জানাতে হবে এবং ব্যাংক স্বাভাবিক নিয়মানুযায়ী সতর্কতা অবলম্বন করবেন । কিন্তু তা সত্তে¡ও বা আদৌ লিখিতভাবে না জানালে প্রতারনার মাধ্যমে এই হারিয়ে যাওয়া রসিদ দিয়ে যদি কেউ টাকা তুলে নেয় তাহলে ব্যাংক দায়ী থাকবে না।
০৯. ব্যাংক কোনোরূপ কারণ দর্শানো ব্যতীত যেকোনো ধরনের গ্রাহক থেকে জমা নিতে অসম্মতি জ্ঞাপন করতে পারেন।
১০. উক্ত হিসাব থেকে সরকারী বিধি মোতাবেক কর/শুল্ক কর্তন করা হয়।
১১. ব্যক্তিগত/ব্যক্তিমালিকাধীন/যৌথ মালিকাধীন হিসাব ধারকগণ তাঁর বা তাদের মূত্যুর পর জমাকৃত টাকা প্রদানের জন্য নমিনী মনোনীত করতে পারেন। হিসাব ধারকের মৃত্যর পর সংশ্লিষ্ট হিসাবের জমাকৃত অর্থ উত্তোলনের জন্য নমিনী /নমিনীগনকে তার/তাদের আবেদনপত্রের সাথে মনোনয়নের স্বপক্ষে সঠিকতার প্রমান-স্বরূপ নি¤œলিখিত কাগজপত্র/দলিলাদি দাখিল করতে হবে।
খ) রেজিষ্টার ডাক্তার/ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান/সিটি করপোরেশন বা মিউনিসিপ্যালিটির ওয়ার্ড কমিশনার কর্তৃক ইস্যুকৃত হিসাব ধারকের মৃত্যুজনিত সনদপত্র(Death Certificate)। প্রবাসে মৃত্যু হলে মৃত্যু জনিত সনদপত্র সংশ্লিষ্ট দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস/কনসাল অফিস কর্তৃক প্রতি স্বাক্ষরিত হতে হবে।
গ) জাতীয় পরিচয়পত্র(National ID Card)/পাসপোর্টের সত্যায়িত ফটোকপি।
ঘ) নমিনী/নমিনীগণের পরিচিতির স্বপক্ষে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান/সিটি করপোরেশন বা মিউনিসিপ্যালিটির ওয়ার্ড
কমিশনার কর্তৃক প্রদত্ত সনদপত্র।
ঙ) নমিনী/নমিনীগণ কর্তৃক প্রদত্ত ইনডেমনিটি বন্ড।
১২. মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের আলোকে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মানুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার অধিকার ব্যাংক
সংরক্ষণ করে।
১৩. ব্যাংক কর্তৃপক্ষ যে কোন সময় মুদারাবা মেয়াদী জমা হিসাব সংক্রান্ত যে কোন নিয়মাবলী আংশিক বা সম্পূর্ন পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংশোধন বা বাতিল করতে পারবে এবং জমাকারী তা মেনে চলতে বাধ্য থাকবেন।
Fill Form Below & Our expert support team will get in touch with you shortly