১. যারা এককালীন মেয়াদী জমা রাখার মাধ্যমে ভবিষ্যতে ব্যাংকের মুনাফাসহ জমাকৃত সম্পূর্ণ টাকা দিয়ে হজ্জ্বব্রত পালন করতে চান তাদেরকে আল-আরাফাহ এককালীন হজ্জ্ব জমা হিসাব খুলতে হবে।
২. যিনি নিজে হজ্জ্বব্রত পালন করতে চান তার নিজের নামে অথবা যার হজ্জ্বব্রত পালনের ব্যবস্থা করতে চান তার নামে এককালীন হজ্জ্ব জমা হিসাব খুলতে হবে । নাবালকদের ক্ষেত্রে তাদের অভিভাবকগণ নাবালকের পক্ষে হিসাব খুলবেন।
৩. ৫ হতে ২৫ বছরের ভিতর হজ্জ্ব সম্পাদনে আগ্রহী ব্যক্তিগণ কত বছরের মধ্যে হজ্জ্ব পালন করতে চান, তার উপর ভিত্তিতে এককালীন টাকা জমা করবেন।
৪. মুদারাবা নীতিমালার ভিত্তিতে হজ্জ্ব হিসাবে জমা গ্রহণ করা হয়। এ প্রকল্পের প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে জমাকৃত টাকার উপর ৩ বৎসর মেয়াদী জমার ওয়েটেজ ভিত্তিক দেয় মুনাফার চেয়ে ০.১০ ভাগ বেশী ওয়েটেজ হারে মুনাফা প্রদান করা হয়।
৫. ছকে বিভিন্ন মেয়াদে এককালীন প্রয়োজনীয় জমার পরিমাণ এবং প্রাক্কলিত খরচের হিসাব প্রকৃত মুনাফার অংক পরবর্তীতে কমবেশী হতে পারে।
৬. যিনি নিজে হজ্জ্বব্রত পালনের জন্য হিসাব খুলেছেন এমন ব্যক্তি কোন অনিবার্য কারণবশত: হজ্জ করতে সক্ষম না হলে তিনি বদলা হজ্জের ব্যবস্থা করতে পারবেন অথবা মুদারাবা সঞ্চয়ী হিসাবের হারে ও নিয়মে মুনাফাসহ জমাকৃত টাকা ফেরৎ পাবেন। যিনি নিজে হজ্জ্বব্রত পালনের জন্য হিসাব খুলেছেন তার মৃত্যু হলে তার উত্তরাধিকারীগণ (আইন অনুযায়ী) যথাযথ প্রমাণ সাপেক্ষে জমাকৃত টাকা উঠাতে পারবেন তবে তারা মুদারাবা সঞ্চয়ী হিসাবের নিয়মে ও হারে মুনাফা পাবেন।
৭. অন্য লোকের নামে হজ্জ্বব্রত পালনের উদ্দেশ্যে হিসাব খোলা হয়েছে এমন ক্ষেত্রে হজ্জ্ব হিসাবধারী কোন কারন বশত: হজ্জ্বব্রত পালন করতে অক্ষম হলে অথবা তার মৃত্যু হলে তার বদলা হজ্জ্ব করাতে হবে। কোন অবস্থাতেই হজ্জ্ব ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্যে জমাকৃত টাকা ব্যবহার করা যাবে না।
৮. কোন জমাকারী যদি পূর্ব নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই হজ্জ্ব সম্পাদনে আগ্রহী হন, তাহলে তিনি তার এককালীন হজ্জ জমা হিসাবে মুনাফাসহ জমাকৃত টাকার সাথে প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত টাকা জমা করে হজ্জ সম্পাদন করতে পারবেন।
৯. চূড়ান্ত মেয়াদ শেষে ব্যাংকের মুনাফাসহ জমাকৃত টাকা যদি উক্ত বছরের হজ্জ্বের সর্বমোট খরচের কম হয় তবে বাকী টাকা এককালীন জমা করে হজ্জ্বব্রত পালন করা যাবে।
১০. মেয়াদ শেষে কোন হিসাবে জমা ব্যাংকের মুনাফাসহ প্রকৃত খরচের বেশী হলে অতিরিক্ত টাকা জমাকারীকে ফেরৎ দেয়া হবে।
১১. এককালীন হজ্জ জমা হিসাবের জন্য নির্ধারিত ফরম পূরণ করতে হবে।
১২. হজ্জ্বের খরচ প্রতি বছর ৫% হারে বৃদ্ধি পায়। তাই বছরে বছরে সম্ভাব্য জমার মোট পরিমান পরিবর্তন হতে পারে। সম্ভাব্য জমার চার্টটি ব্রাঞ্চ কর্তৃপ¶ের কাছ থেকে সংগ্রহ করতে হবে।
১৩. হজ্জের প্রাক্কলিত খরচের হিসাব শতকের ঘর পর্যন্ত পূর্ণ সংখ্যায় প্রকাশ করা হয়েছে।
১৪. আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের নামে এই একাউন্ট খোলা যেতে পারে।
১৫. এ প্রকল্পের আওতায় নাবালক বা শিশুর নামেও হজ্জ হিসাব খোলা যাবে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট হিসাব মালিক মেয়াদান্তে হজ্জ্বব্রত পালনের নিমিত্তে টাকা উঠানোর পূর্বে তার পরিচয় সম্পর্কে ব্যাংকের কাছে গ্রহণযোগ্য পরিচয়পত্র প্রদান করবেন।
১৬. জমাকারীর নিদির্ষ্ট ঠিকানার পরিবর্তন হলে তা অবিলম্বে ব্যাংককে জানাতে হবে ।
১৭. আমানতের অর্জিত আয়ের উপর সরকারী নিয়মানুযায়ী কর/শুল্ক কর্তন করা হবে।
১৮. মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও নীতিমালা অনুযায়ী গ্রাহক ব্যাংকের চাহিদা মোতাবেক যে কোনো তথ্য সরবরাহ করতে বাধ্য থাকবে।
১৯. ব্যাংক কর্তৃপক্ষ যে কোনো সময় হজ্জ্ব একাউন্ট সংক্রান্ত যে কোনো নিয়মাবলী পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংশোধন বা বাতিল করতে পারবে এবং জমাকারী তা মেনে চলতে বাধ্য থাকবেন।
Fill Form Below & Our expert support team will get in touch with you shortly