Apply Now

চুক্তির শর্তাবলী

  • ০১. মুদারাবা মিলিয়নিয়ার ডিপোজিট হিসাব অর্থ জমাকারী গ্রাহক এবং আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড এর মধ্যে সম্পাদিত ইসলামী শরীয়াহ্ মোতাবেক একটি মুদারাবা চুক্তি।
    • ক. এখানে অর্থ জমাকারী গ্রাহক হচ্ছে ‘সাহিবুল-মাল’ (অর্থের মালিক) এবং ব্যাংক হচ্ছে ‘মুদারিব’ (ব্যবসা পরিচালনাকারী)।
    • খ. ইসলামী শরীয়াহ্ নির্দেশিত মুদারাবা নীতিমালার ভিত্তিতে ব্যাংক এ অর্থ জমা গ্রহণ করে এবং শরীয়াহ্ সম্মতভাবে বিনিয়োগ করে।
    • গ. ব্যাংক মুদারাবা তহবিল বিনিয়োগ করে প্রাপ্ত আয়ের শতকরা ৭০ ভাগ মুদারাবা জমাকারীদের মধ্যে ওয়েটেজ ভিত্তিতে বন্টন করে। বিনিয়োগে লোকসান হলে মুদারাবা জমাকারীগণ তা বহন করবেন।
    • ঘ. এ ছাড়া উক্ত হিসাবের জন্য ইসলামী শরীয়াহ্র মুদারাবা চুক্তির অন্যান্য শর্তাবলী প্রযোজ্য হবে।

হিসাব পরিচালনার নিয়মাবলী

  • ০১. স্কীমের মেয়াদঃ ৩ বছর, ৪ বছর, ৫ বছর, ৬বছর, ৭ বছর, ১০ বছর, ১২বছর, ১৫ বছর, ২০ বছর।
  • ০২. মাসিক জমার পরিমাণ যথাক্রমে ২৩,২০০/- ১৬,৪০০/- ১২,৭০০/- ১০,০২০/- ৭,৮২০/- ৪,৫০০/- ৩,৩৩০/- ২,১৯০/- ১,১৭৫/- টাকা।
  • ০৩. মুদারাবা নীতিমালার ভিত্তিতে এই হিসাবে জমা গ্রহণ করা হয় । এ স্কীমের প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে জমাকৃত টাকার উপর দৈনিক স্থিতির ভিত্তিতে মুনাফা দেয়া হয় ।
  • ০৪. এই স্কীমের আওতায় হিসাব খোলার সময় গ্রাহক যেকোনো কিস্তি বেছে নিতে পারবেন। তবে পরবর্তীতে তা পরিবর্তন করা যাবে না । একই ব্যক্তি বিভিন্ন কিস্তি হারে একাধিক হিসাব খুলতে পারেন)।
  • ০৫. এ স্কীমের আওতায় হিসাব খোলার জন্য নির্ধারিত ফরম ব্যবহার করতে হবে।
  • ০৬. এই স্কীমের আওতায় সঞ্চয়কারী মেয়াদপূর্তির আগে কোন টাকা উত্তোলন করতে পারবেন না । তবে অনিবার্য কারণবশতঃ কোন সঞ্চয়কারী মেয়াদপূর্তির আগে সঞ্চয়কৃত টাকা উত্তোলন করতে চাইলে-(ক) সঞ্চয় মেয়াদ ০৬ (ছয়) মাসের কম হলে হিসাবধারী কোন প্রকার লভ্যাংশ পাবেন না, (খ) সঞ্চয়ের মেয়াদ ০৬ (ছয়) মাসের বেশী হলে মুদারাবা সঞ্চয়ী হিসাবের নির্দেশিত হার অনুযায়ী লভ্যাংশ পাবেন ।
  • ০৭.যে কোনো কার্য দিবসে মাসিক কিস্তির টাকা জমা দেয়া যাবে। যে কোনো পরিমাণ কিস্তির অগ্রিম জমা সবসময়ই গ্রহনযোগ্য হবে।
  • ০৮. পর পর তিনটি কিস্তি জমা দিতে ব্যর্থ হলে ব্যাংক সঞ্চয় প্রকল্প হিসাব বন্ধ করে দেয়ার অধিকার সংরক্ষণ করে । কোন সঞ্চয়কারী পরপর তিনের অধিক নির্ধারিত মাসিক কিস্তির টাকা জমা দিতে ব্যর্থ হলে, তার সঞ্চয়ী হিসাবটি মিলিয়নার ডিপোজিট স্কীমের পরিবর্তে মুদারাবা সাধারণ সঞ্চয়ী হিসাব বলে গণ্য হবে এবং উক্ত হিসাবের উপর নূন্যতম ছয় মাস মেয়াদপূর্তি সাপেক্ষে মুদারাবা সঞ্চয়ী হিসাবের হার অনুযায়ী লভ্যাংশ প্রদান করা হবে ।
  • ০৯. বিশেষ প্রয়োজনে আমানতকারী জমাকৃত টাকার বিপরীতে সর্বোচ্চ ৮০% বিনিয়োগসুবিধা বিধি মোতাবেক গ্রহণ করতে পারবেন।
  • ১০.নিদির্ষ্ট কিস্তির বিপরীতে মেয়াদান্তে প্রাক্কলিত মুনাফাসহ সম্ভাব্য প্রাপ্য টাকার পরিমাণ নিম্নোক্ত ছকে দেখানো হলো । প্রকৃত হিসাব অনুযায়ী প্রতি বৎসরান্তে মুনাফার অংক গ্রাহকের হিসাবে জমা করা হয় । মেয়াদান্তে প্রকৃত মুনাফার পরিমাণ প্রাক্কলিত মুনাফার পরিমাণের চেয়ে কমবেশী হতে পারে।
    • জমার মেয়াদ মাসিক জমা মেয়াদান্তে সম্ভাব্য প্রাপ্য টাকার পরিমাণ
      ৩ বছর ২৫,৮৪০/- টাঃ ১০ লক্ষ
      ৪ বছর ১৮,৯২০/- টাঃ ১০ লক্ষ
      ৫ বছর ১৫,০০০/- টাঃ ১০ লক্ষ
      ৬ বছর ১২,২৩০/- টাঃ ১০ লক্ষ
      ৭ বছর ১০,০৬০/- টাঃ ১০ লক্ষ
      ১০ বছর ৬,৫৬০/- টাঃ ১০ লক্ষ
      ১২ বছর ৫,২০০/- টাঃ ১০ লক্ষ
      ১৫ বছর ৩,৮৭০/- টাঃ ১০ লক্ষ
      ২০ বছর ২,৫৬৫/- টাঃ ১০ লক্ষ
      • ১১. যে কোনো মেয়াদান্তে প্রদেয় অর্থ সর্বশেষ কিস্তি জমা দেয়ার একমাস পর প্রদান করা হয়।
      • ১২. আমানতকারীর মৃত্যু হলে সংশ্লিষ্ট হিসাবে লেনদেন বন্ধ থাকবে । মুনাফাসহ জমাকৃত অর্থ মনোনীত ব্যক্তিকে প্রদান করা হবে । মনোনয়ন না থাকলে উত্তরাধিকরার প্রমাণপত্র নিয়ে আমানতকারীর আইনগত উত্তরাধিকারীদেরকে মুনাফাসহ জমাকৃত অর্থ প্রদান করা হবে।
      • ১৩.সাধারণত বাৎসরিক ভিত্তিতে হিসাব বিবরণী সরবরাহ করা হয় । তবে ব্যাংক আমানতকারীর প্রয়োজনে হিসাব বিবরণী সরবরাহ করলে সে ক্ষেত্রে ব্যাংকের নির্ধারিত চার্জ প্রযোজ্য হয়।
      • ১৪. আমানতকারী নির্দিষ্ট মেয়াদান্তে প্রাক্কলিত মুনাফাসহ জমাকৃত টাকা এককালীন উত্তোলন করতে পারবেন ।
      • ১৫. ১৮ বছরের উর্দ্ধে যেকোন বাংলাদেশী সুস্থ মনের নাগরিক এই প্রকল্পে অংশগ্রহণ করতে পারবে । তবে ১৮ বছরের নিচে অপ্রাপ্ত বয়স্কদের নামেও এই হিসাব খোলা যাবে । সেক্ষেত্রে হিসাবটি অপ্রাপ্তবয়স্কদের অভিভাবক পরিচালনা করবেন।
      • ১৬. মেয়াদপূর্তির পূর্বে যে কোনো সময় ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত সার্ভিস চার্জ প্রদান পূর্বক গ্রাহক হিসাব বন্ধ করতে পারবেন।
      • ১৭. সরকারী বিধি মোতাবেক উক্ত হিসাব থেকে কর/শুল্ক কর্তন করা হয় ।
      • ১৮.এ স্কীমের আওতায় আমানতকারীর সংশ্লিষ্ট শাখায় সংরক্ষিত তাঁর হিসাব থেকে নিয়মিত কিস্তি প্রদানের জন্য শাখাকে স্থায়ী নির্দেশনা (Standing Instruction) প্রদান করতে পারেন । সেক্ষেত্রে ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত ফি প্রযোজ্য হবে ।
      • ১৯. মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের আলোকে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মানুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার অধিকার ব্যাংক সংরক্ষণ করে)।
      • ২০. জমাকারীর নিদির্ষ্ট ঠিকানার পরিবর্তন হলে তা অবিলম্বে ব্যাংককে জানাতে হবে ।
      • ২১. ব্যাংক কর্তৃপক্ষ যে কোনো সময় মুদারাবা মিলিয়নার ডিপোজিট স্কীম সংক্রান্ত যে কোনো নিয়মাবলী পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংশোধন বা বাতিল করতে পারবে এবং জমাকারী তা মেনে চলতে বাধ্য থাকবেন)।

Fill Form Below &
Our expert support team will get in touch with you shortly

    Please prove you are human by selecting the flag.